‘উপরওয়ালাকে বলুন’ আমাদের কিছুই করার নেই।

10

উপরের দিকে তাকিয়ে আঙ্গুল তুলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বললেন ‌’উপরওয়ালার কাছে বলুন।আমাদের কিছুই করার নেই।
সিটি নির্বাচন উপলক্ষে ভোর থেকেই সেগুনবাগিচা, পল্টন, ফকিরাপুল, বিজয়নগর, সিদ্ধেশরী, রমনা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থানের ভোট কেন্দ্রে ২০ দলীয় জোট এবং বিএনপি জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের এজেন্টদেরকে বের করে দেয়া হয়। এসব এজেন্টরা জড়ো হন জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে। তাদেরকে বের করে দেয়ার ব্যাপারে মিডিয়ার সামনে কথা বলার জন্যই তারা সেখানে গিয়েছিলেন। দেড় থেকে দুশো এজেন্ট সেখানে জড়ো হয়েছিলেন। বেলা ১০ টার দিকে সেখানে হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এসময় তারা দৌড়ে গিয়ে পুলিশ র‌্যাবসহ আইনশৃঙ্খলা বহিনীর সদস্যদের কাছে সহায়তা চান। এসময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কয়কে সদস্য উপরের দিকে মুখ তুলে আঙ্গুল দিয়ে ইশারা করে বলেন উপর ওয়ালাকে বলেন।এক পর্যায়ে সেখানে জড়ো হওয়া এজেন্টরা চলে যেতে বাধ্য হন। মগ মার্কার এজেন্ট খলিলুর রহমান বলেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও অসহায়ত্ব দেখিয়েছে। তারা বোঝাতে চেয়েছেন তাদেরও কিছু করার নেই।

এসব এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের শুধু বের করে দেয়াই নয়, কোন কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সরাসরি কেন্দ্রে ঢুকে তাদেরকে তুলে নিয়ে যায়। ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রার্থী আঞ্জুমানআরা বেগমের ছেলের বউ তামান্না সুলতানাকে পল্টন মহিলা কলেজ কেন্দ্রে আটকে রাখে প্রতিপক্ষের প্রার্থীর লোকজন। পরে সাংবাদিকরা গিয়ে তাকে উদ্ধার করন। এই এলাকার বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে অন্তত ৬ জন এজেন্টকে পুলশি আটক করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।