সফেদা নিয়ে ঢাকার বারডেম জেনারেল হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ পুষ্টিবিদ শামছুন্নাহার নাহিদ জানালেন, ‘ফলটি খেতে যেমন ভালো, পুষ্টিও আছে ষোলো আনা। প্রতিটি সফেদায় শক্তি আছে ৮৩ কিলোক্যালরি, কার্বোহাইড্রেট ১৯.৯ গ্রাম, ডায়াটরি ফাইবার ৫.৩ গ্রাম। প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ ফলটি।’ আসুন এবার জেনে নেওয়া যাক সফেদার সবটা।
. সফেদায় চর্বি থাকে না। তাই আয়েশ করে বেশি খেলেও শরীরে মেদ বাড়ার আশঙ্কা থাকে না।
. ফলটিতে আছে প্রচুর পরিমাণ আঁশ। এই পাচক আঁশ হজমে সহায়তা করে ও কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে সাহায্য করে।
. সফেদায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ। এটি চোখ, ত্বক ও হাড়ের জন্য খুব ভালো।
. ফলটিতে থাকা ভিটামিন সি এবং অন্যান্য উপাদান মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। সেই সঙ্গে ওরাল ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
. সফেদায় থাকা ডায়াটরি ফাইবার, পলিফেনলিক যৌগ ও ভিটামিন আমাদের শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সহায়তা করে।
. নিয়মিত সফেদা খেলে শারীরবৃত্তীয় কাজের গতি ত্বরান্বিত হয়। এ ছাড়া ফলটিতে থাকা ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ফসফরাস হাড়ের গঠনকেও মজবুত করে।
. হঠাৎ করে সর্দি, কাশি হলে ওষুধের বিকল্প হিসেবে সফেদা খেতে পারবেন।
. সফেদায় আছে প্রচুর পরিমাণ গ্লুকোজ। এই গ্লুকোজ শক্তি দেয়। কাজেও আসে গতি।
. সফেদা ফলের স্নায়ু শান্ত করার অসাধারণ এক ক্ষমতা আছে। তাই মানসিক চাপ ও উদ্বেগ দূর করতে খেতে পারেন।
. ফলটি ভিটামিন, মিনারেল ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ হওয়ায় রোগ প্রতিরোধের অংশ নেয়।
. সুস্থ ত্বক ও ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সফেদার জুড়ি নেই।
. সফেদা একদিকে ত্বকের আর্দ্রতা রক্ষা করে কোষের ক্ষয় পূরণ করে, অন্যদিকে নতুন কোষ তৈরিতে অংশ নেয়। ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তেও বাধা দেয়।
. ত্বকে অনাবশ্যক ছত্রাক ও ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ রোধেও সক্ষম।
. ফলটি ফুসফুস ও কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে আবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে হৃৎস্বাস্থ্যের জন্যও ভালো সফেদা।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.