দাম্পত্যে ফিরে আসবে হারানো গতি

22

দাম্পত্যের প্রথম দিকটা মোটামুটি সবারই ভালো যায়, গেছে আপনাদেরও। কিন্তু দিন পেরিয়ে পুরোনোর খাতায় যাওয়া শুরু হলেই দেখছেন আন্তরিকতার লোপ। কোনো কারণ ছাড়াই সংসার, সন্তান, পরিবারের উন্নতি, ভালোবাসা, আত্মীয়র সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষায় সঙ্গী অমনোযোগী। অথচ এই জীবনে সবারই সুখ একান্ত কাম্য। আপনার প্রচেষ্টায় সংসারের বাইরের চেহারা পরিপাটি থাকলেও ভেতরের রূপ একদমই ভিন্ন। আপনার প্রতি সঙ্গীর নেই আগের সেই ভালোবাসা, আন্তরিকতা, আবেগ এমনকি যৌন সম্পর্কে রয়েছে আগ্রহের অভাব। কেবল রোবটের মতো পাশাপাশি চলা। এভাবে চলতে গিয়ে আপনিও বেশ হাঁপিয়ে উঠেছেন। তাই এখনই আনা চাই বৈচিত্র্য, নইলে ঘটতে পারে বিষ্ফোরণ। আর সেজন্য-

* প্রথমেই আপনাকে সঙ্গীর এমন আচরণের কারণ বের করতে হবে। ভিন্ন জনের ক্ষেত্রে ভিন্ন কারণ থাকতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে মূল কারণ হয় জীবনযাত্রায় একঘেয়েমি। এমন হলে বৈচিত্র্য আনার চেষ্টা করুন। তাকে নিয়ে ঘুরতে যান। আচরণে রোমান্স সৃষ্টি করুন। দেখবেন আপনার প্রতি সঙ্গীর ভালোবাসা আবারও ফিরে আসছে।

* তুচ্ছ কোনো কারণে মনোমালিন্যও সঙ্গীর উদাসীনতার জন্য দায়ি হতে পারে। মনোমালিন্যই যদি কারণ হয়ে থাকে, তবে আপনি নিজে থেকেই চেষ্টা করুন মিটিয়ে ফেলতে। যা হবার তা হবে ভেবে বসে থাকলে চলবে না।

* পরস্পরকে পেয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় জীবনের প্রয়োজনে হাজারো বাস্তবতার চাপ। সেই চাপে হারিয়ে যায় আবেগ-ভালোবাসা। জীবনের মানে দাঁড় করান শুধু টাকার পেছনে উর্ধ্বশ্বাসে ছুটে যাওয়াকে। এমন ধারণা থেকে নিজেকে তো বের করবেনই, সঙ্গীকেও বোঝানোর চেষ্টা করুন। ঠাণ্ডা মাথায় তাকে বোঝালে ভালো ফল পেতে পারেন।

* পরকীয়া যেকোনো সংসারের জন্য মস্ত বড় একটা অভিশাপ। আপনার আচরণের ত্রুটি বা অবহেলা যদি সঙ্গীকে এমন পথে ধাবিত করে তবে নিজেকে আগে শুধরান। তারপর তাকে কৌশলে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন। অযথা গালমন্দ বা মানসিক চাপ দিলে হিতে বিপরীত হতে পারে। নিজের সঙ্গীকে ধরে রাখুন ভালোবাসার বন্ধনে।

* আপনাদের ঝিমিয়ে পড়া সম্পর্কে আবারও ফিরিয়ে আনতে নিজের লুক বদলে দিতে পারেন। বিয়ের পর প্রায় নিজের খেয়াল রাখা ছেড়ে না দিয়ে বেশি করে খেয়াল রাখুন। মুটিয়ে যাওয়া, সৌন্দর্য হারিয়ে ফেলা, নিজের স্টাইল বা ফ্যাশন সেন্স ধরে না রাখা সঙ্গীর উদাসীনতার বড় একটা কারণ। তাই প্রিয় মানুষটির চোখে সুন্দর থাকা আপনার জন্য সবচেয়ে জরুরি।

* সৃষ্টিশীল কিছু কাজ করে সঙ্গীকে তাক লাগিয়ে দিতে পারেন। ভালোলাগার জায়গা থেকে সে যেন আপনাকে আবার নতুন করে চেনে। নতুন করে ধারণা জন্মায়। তার যেন মনে না হয় আপনাকে চেনা শেষ। এই ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারলে সম্পর্ককে চির সবুজ রাখা সম্ভব।

* কাজের চাপে তিনি মারাত্মক ক্লান্ত থাকলে কায়িক বা মানসিক সহায়তা দিতে পারেন। শারীরিক সমস্যায় ভুগলে তার পাশে থাকুন। আস্তে আস্তে দেখবেন সম্পর্কও স্বাভাবিক হয়ে গেছে।

* সঙ্গী প্রতিনিয়ত ভালোবাসার কথা জানান দিন। মাঝে মাঝে বলেও ফেলুন। আপনার ভালোবাসার প্রকাশ যেন তাকে ঘিরে থাকে সারাক্ষণ। দেখবেন, সঙ্গীর উদাসীনতা দূর হয়ে যাবে। তিনি উদাসীন বলে আপনি কখনো গাল ফুলিয়ে থাকবেন না।

* যৌন আচরণে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করুন তারুণ্যের সেই ছেলে মানুষী। যৌন জীবনে করতে পারেন নানান রকম অ্যাডভেঞ্চার। এতে দাম্পত্যে ফিরে আসবে নতুনত্ব। সম্পর্কে নতুন আনন্দ যোগ হলে দাম্পত্য ফিরে পাবে গতি।