দম্পতি যদি হয় সহকর্মী তাহলে…

26

আমাদের দেশে এমন অনেক দম্পতি আছেন যারা একই অফিসে চাকরি করেন। এক্ষেত্রে একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে তারা যে শুধু সুবিধাই ভোগ করেন এমনটি নয়। অনেক সময় তারাও অনেক সমস্যার সম্মুখীন হন। একসঙ্গে কাজ করার একটাই সুবিধা হলো- অফিসে তারা একে অপরের কাজ ও ব্যস্ততা দেখতে পারেন যা পরবর্তীতে তাদের পারস্পরিক বোঝাপড়ায় সহায়তা করে। কিন্তু একসঙ্গে কাজ করতে গিয়ে ব্যক্তিগত আর পেশাদার জীবন মিলেমিশে এক হয়ে গেলে একটু সমস্যা দেখা দিতেই পারে। তখন হতাশ হওয়ার কিছু নেই। বরং কিছু বিষয় রয়েছে যা মেনে চললে এক অফিসে কাজ করেও সঙ্গীর সঙ্গে মধুর সম্পর্ক রাখা সম্ভব।

এ সম্পর্কে ভারতের দাম্পত্যবিষয়ক পরামর্শদাতা ডা. সঞ্জয় মুখার্জি কিছু টিপস দিয়েছেন। এগুলো নিম্নরুপ:

সঙ্গীর কাজে বাধা দেবেন না
অফিসে সঙ্গীর কোন বিষয়ে নাক না গলানোই ভালো। এমনকি তার কাজের সব বিষয় সম্পর্কেও জানতে চাইবেন না। অফিসে দুজনের মধ্যে যে কেউ ঝামেলায় জড়ালে নিজেরাই তার সমাধান করার চেষ্টা করুন। তাতে করে এক অফিসে কাজ করতে কোন সমস্যা হবে না।

দূরত্ব বজায় রাখুন
একসঙ্গে কাজ করলেই যে তার কাছাকাছি থাকতে হবে এমন কোন কথা নেই। সবসময় একটা দূরত্ব রেখে চলুন। তাতে সম্পর্ক আরও গভীর হবে। অফিসে আপনাদের আলাদা আলাদা বন্ধু থাকতেই পারে। তাদের সঙ্গে সময় কাটান। এটা শুধু ক্যারিয়ারের জন্যই ভালো হবে না, এতে আপনার পেশাদারিত্বও প্রকাশ পাবে।

ব্যক্তিগত বিষয় গোপন রাখুন
দাম্পত্য জীবনে ঝগড়া লাগতেই পারে। কাজেই এসব বিষয় নিয়ে কখনই অফিসে আলোচনা করবেন না। এতে করে সঙ্গীর ইমেজ নষ্ট হতে পারে।

পেশাদ্বারিত্ব বজায় রাখুন
অফিসে সঙ্গীর সঙ্গে অতি আন্তরিক আচরণ এড়িয়ে চলুন। এমনকি সঙ্গীকে কখনও আপনার দেওয়া নামেও ডাকবেন না। তাতে পেশাদারিত্ব ও সম্মান দুটোই ঠিক থাকবে।

ঈর্ষা করবেন না
প্রমোশন কিংবা প্রশংসা পেলে কখনই সঙ্গীকে ঈর্ষা করবেন না। মনে রাখবেন, একজনের পদোন্নতি বা সফলতা মানে দুজনেরই সফলতা।

সহকর্মীদের সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দিন
সবসময় সঙ্গীর সিদ্ধান্তকে গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। অন্যদেরও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার চেষ্টা করুন। যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে সমস্যার সৃষ্টি হয়, তাহলে ব্যাপারটি সবার সঙ্গে আলোচনা করে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। তাতে শুধু সঙ্গী নয়, বরং সবার সঙ্গেই সম্পর্ক ভালো থাকবে।

তথ্যসূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া