সালমানের কারাদণ্ডে বলিউডের ২০০ কোটি ক্ষতির আশঙ্কা

17

মঙ্গলবার রাতেই কবির খানের ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবির শ্যুটিং সেরে কাশ্মীর থেকে মুম্বই ফিরেছিলেন সলমন। করিনা কপূরের সঙ্গে দুর্দান্ত শ্যুটিংয়ের পরে বেশ খোশমেজাজে ছিলেন তিনি। তখনও জানতেন না ৬ মে সকাল, রাতের চেয়েও অন্ধকার হয়ে যাবে। ৪৯ বছরের এই সুপারস্টারের ৫ বছরের কারাদণ্ডে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ক্ষতির আশঙ্কা করছে বলিউড। সোনম কপূরের সঙ্গে ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ ছবির শ্যুটের প্রায় অনেকটা কাজই এখনও বাকি। ৫ বছরের জেল হলে কী ভাবে এই ছবি শেষ করবেন তা ভেবেই পাচ্ছেন না পরিচালক সূরজ বরজাতিয়া। পরিচালক থেকে প্রযোজক, সকলেরই এখন মাথায় হাত।
সলমানের এই অপরাধ বহুচর্চিত বিষয়। এই অপরাধ ইচ্ছাকৃত নয়। সেই কারণে সহজেই তিনি ওই অভিযোগ থেকে মুক্তি পাবেন, এমনই আশা করেছিল বলিউড। আর তাই আরও চারটি নতুন হিন্দি ছবির কনট্র্যাক্টে সই করে ফেলেছিলেন বলিউডের চুলবুল পাণ্ডে। সলমান মানেই ছবি সুপার হিট! এই বিশ্বাসে শুধু কনট্র্যাক্টে সই নয়, ‘দাবাঙ্গ ৩’ আর ‘এন্ট্রি মে নো এন্ট্রি’ ছবির প্রোডাকশনের কাজ আরম্ভই হতে চলেছিল। বলিউড ভুলতে বসেছিল তাঁর অপরাধের কথা। প্রায় সেই মুহূর্তেই বিনা মেঘে বজ্রপাতের মতো এমন আইনি ঘোষণা। নিজের অজান্তেই সলমন ‘দাবাঙ্গ ২’-এর গানের মতোই ‘দাগাবাজ’ হয়ে গেলেন। এই ঘটনা যেমন দুঃখজনক তেমনই অপ্রত্যাশিত।
সঞ্জয় দত্তের পরে বলিউডের অন্য এক সুপারস্টার এ বার দায়রা আদালতের মুখোমুখি। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে অনিচ্ছাকৃত খুনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলেন তিনি। ২০০২– এর ২৮ সেপ্টেম্বর সেই দিনে গাড়ি চালানোর সময় নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্সটা সঙ্গে ছিল না তাঁর।
কে জানত, ওই রাতে থেকে তাঁর জীবনের স্টিয়ারিংয়েরও মোড় ঘুরবে বলিউডি ফিল্মের চিত্রনাট্যেরই মতো!
সূত্রঃ আনন্দবাজার