সরকারি চাকরি করেও ছাত্রলীগের কমিটিতে যারা

66

গঠনতন্ত্রের তোয়াক্কা না করে ছাত্রলীগের কমিটিতে পুরোনোরা পদ আঁকড়ে আছেন। জড়িয়ে পড়ছেন ব্যবসা-বাণিজ্যে, ঢুকছেন সরকারি চাকরিতে। এভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম এই সংগঠনের দুই বছর মেয়াদের কেন্দ্রীয় কমিটি পার করছে চার বছর।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, সরকারি চাকরি করলে কেউ ছাত্রলীগ করতে পারেন না। কিন্তু ছয় বছর প্রবাসীকল্যাণমন্ত্রীর সহকারী একান্ত সচিবের (এপিএস) দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এক যুগের বেশি সময় ধরে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সত্যজিৎ মুখার্জি। গত ১৬ এপ্রিল তাঁকে ওই পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। চাঁদাবাজির একাধিক মামলাও হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এসব মামলায় আত্মগোপনে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। কমিটির সভাপতি মনির হোসেনের ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।
কেবল কি এপিএস! সংগঠনটির ওয়েবসাইট, দপ্তর ও একাধিক নেতার সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির দুজন সহসভাপতি, একজন সাংগঠনিক সম্পাদক, পাঁচজন সম্পাদক, দশজন উপসম্পাদক এবং দুজন সহসম্পাদক প্রথম শ্রেণির সরকারি কর্মকর্তা। এ ছাড়া বিভিন্ন পদের অন্তত ছয়জন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দুজন পুলিশের উপপরিদর্শকও আছেন এই তালিকায়। তালিকায় অন্তত ৫০ জন আছেন, যাঁরা পেশায় ব্যবসায়ী।
বাগেরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সরদার নাসিরউদ্দিন পেশায় ব্যবসায়ী ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান। তাঁর সন্তানেরা লেখাপড়া করছে। কিন্তু তিনি ছাত্রলীগের পদ ছাড়েননি। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ছাত্রলীগের জেলা কমিটিগুলোর মেয়াদ এক বছর। কিন্তু এক যুগ ধরে বাগেরহাটে একই কমিটি রয়েছে। বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতির বাড়ি বাগেরহাটে হলেও গত চার বছরে নিজ জেলায় সম্মেলন করতে পারেননি। এ বিষয়ে সরদার নাসিরউদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, আগামী ২৩ মে বাগেরহাট জেলা কমিটির সম্মেলন। এর মাধ্যমেই নতুন কমিটি করা হবে। তবে এতদিন কেন কমিটি দেওয়া হয়নি, এ ব্যাপারে তিনি কিছু জানেন না বলে উল্লেখ করেন।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্রের ২-এর (গ) ধারায় বলা হয়েছে, সরকারি চাকরিতে নিয়োগ পেলে কেউ আর ছাত্রলীগে থাকতে পারবে না। কিন্তু সংগঠনটির কর্মসূচি ও পরিকল্পনা সম্পাদক রাহুল পাটোয়ারী এখন বিসিএস পুলিশ ক্যাডারের কর্মকর্তা। গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মুকিব মিয়া বিসিএস শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তা। স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আতাউল করিম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সম্পাদক মোহাম্মদ জাবেদ বিসিএস স্বাস্থ্য ক্যাডারের কর্মকর্তা।
উপ-দপ্তর সম্পাদক রাশেদুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার কর্মকর্তা। উপশিক্ষা ও পাঠচক্র সম্পাদক শরিয়তউল্লাহ লিটন পল্লি উন্নয়ন বোর্ডের সহকারী পরিচালক। উপ-সাহিত্য সম্পাদক বাতেন শেখ, উপ-অর্থ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল আলম একটি গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা। উপ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ইমরান বিসিএস (অর্থনীতি) কর্মকর্তা। উপ-গণযোগাযোগ সম্পাদক দেবু কুমার ভট্টাচার্য শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। উপ-সাহিত্য সম্পাদক সুমাইয়া সুলতানা সমবায় কর্মকর্তা। উপ-সাহিত্য সম্পাদক তরিকুল ইসলাম ও শহিদুল্লাহ মামুন পুলিশের উপপরিদর্শক। উপ-গণশিক্ষা সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ বিসিএস পুলিশ কর্মকর্তা। উপ-আপ্যায়ন সম্পাদক লিটন মাহমুদ ও উপ-স্কুল সম্পাদক আজিজুল বারী জনতা ব্যাংকের কর্মকর্তা। উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক আহসান হাবীব ন্যাশনাল ব্যাংকে আছেন। উপ-স্বাস্থ্য সম্পাদক মাহফুজুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা। এই পদ নিয়েই তিনি সম্প্রতি কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে হাজির হন। সহ-সম্পাদকদের মধ্যে কামরুন নাহার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রন্থাগারে চাকরি (সিনিয়র ক্যাটালগার) করছেন আর মিঠু সরকারি চিকিৎসক।
এর বাইরে কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মহিউদ্দিন মাহী, মেজবাহ উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদিদ জাহান, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকতুল ইসলামসহ আরও অন্তত ২৫ জন কেন্দ্রীয় নেতার নাম ওয়েবসাইটে না থাকলেও তাঁরা বিভিন্ন পর্যায়ে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন। এর আগে ২০১২ সালে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির অন্তত ৩৭ জন এনএসআইতে নিয়োগ পান। তাঁদের নাম ওয়েবসাইট থেকে বাদ দেওয়া হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। যদিও তাঁদের সরাসরি কোনো কর্মসূচিতে দেখা যায় না।
এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ইমাউল হক সরকার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার পর তিনি গত ১ জানুয়ারি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু তাঁর নামও ওয়েবসাইটে রয়েছে।
ছাত্রলীগে থেকেও সরকারি চাকরি করছেন—এমন পাঁচজনের সঙ্গে কথা বললে তাঁরা প্রত্যেকে সংগঠন থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে জানান। আর কমপক্ষে ১০ জন বলেছেন, তাঁরা পদত্যাগ করেননি। তাঁদের মধ্যে একাধিক নেতাকে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের পক্ষে কাজ করতে দেখা গেছে।
ওয়েবসাইট ও তালিকায় কেন নাম রয়েছে—এ ব্যাপারে স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক আতাউল করিম বলেন, হয়তো তালিকা হালনাগাদ করা হয়নি। দেবু কুমার ভট্টাচার্য বলেন, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এটি এমনিতেই বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। তিনি নিজে কোনো আবেদন করেননি।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা ২৫১। কিন্তু বর্তমানে ৫০০-এর বেশি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রয়েছেন বলে জানা গেছে। কেন্দ্রীয় কমিটির মেয়াদকাল দুই বছর। কিন্তু প্রায় চার বছরেও নতুন কমিটি হয়নি। একইভাবে ১০১টি জেলা কমিটির ৫৬টির মেয়াদ নেই। তবে চার বছরের কাছাকাছি সময়ে এসে আগামী ২৫ ও ২৬ জুলাই ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।
ছাত্রলীগের সাবেক এবং বর্তমান একাধিক নেতা বলছেন, ছাত্রলীগ কীভাবে চলবে, সেটি নির্ধারণ করা আছে গঠনতন্ত্রে। কিন্তু সেটি না মানার কারণেই এত সমস্যা হচ্ছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা, স্বাধিকার আন্দোলনসহ বিভিন্ন আন্দোলনে ছাত্রলীগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকলেও এখন এই সংগঠন নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে গত সাড়ে ছয় বছরে ৪৩ জন নেতা-কর্মী প্রাণ হারিয়েছেন। গত ১২ এপ্রিল কুমিল্লায় ছাত্রলীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাণ হারান শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম। এর পাঁচ দিন না পেরোতেই ১৬ এপ্রিল দিনাজপুরের হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষে প্রাণ হারান আরও দুই কর্মী। সংগঠনটির নেতাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভর্তি-বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগেরও শেষ নেই।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিবাহিত হলে আর ছাত্রলীগ করা যায় না। কিন্তু ছাত্রলীগের অর্ধশত সদস্য রয়েছেন, যাঁরা বিবাহিত। এ ছাড়া ঠিকাদারি, ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে। আছেন খুনের মামলার আসামিও। আর বর্তমান কমিটির সভাপতি এইচ এম বদিউজ্জামান ও সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম দুজনেরই পদ পাওয়ার পর অর্থবিত্তের মালিক হওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সংগঠনেরই নেতা-কর্মীরাই। যদিও তাঁরা এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেছেন।
সরকারি চাকরি করার পরও ছাত্রলীগে থাকা প্রসঙ্গে বদিউজ্জামান বলেন, ‘এরা এখন আর সংগঠনের কোনো কার্যক্রমে নেই।’ ওয়েবসাইটে তো তাঁরা এখনো আছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ওয়েবসাইট হালনাগাদ করা হয়নি।’ তাঁরা কবে পদত্যাগ করেছেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘করেছেন।’
মেয়াদহীন কেন্দ্রীয় কমিটি: গঠনতন্ত্র অনুযায়ী অনূর্ধ্ব ২৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীরা প্রাথমিক সদস্য হতে পারবেন। তবে ২০১১ সালের সম্মেলনের সময় সর্বোচ্চ বয়সসীমা ২৯ নির্ধারণ করা হয়। গঠনতন্ত্রের ৫ (গ) ধারায় বলা আছে, যেকোনো নিয়মিত ছাত্র ছাত্রলীগের কর্মকর্তা ও কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সদস্য হতে পারেন। তবে এখন যাঁরা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁদের বড় অংশই আর নিয়মিত ছাত্র নন।
২০১১ সালের ১০ জুলাই বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটি গঠিত হয়েছিল, যার মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০১৩ সালের জুলাইয়ে।
সংগঠনের একাধিক নেতা জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত নিয়মিত ছাত্রলীগের কমিটি হয়েছে। কিন্তু ১৯৯৪ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে গঠনতন্ত্র লঙ্ঘিত হচ্ছে। তাঁরা বলছেন, ছাত্রলীগের নেতা হওয়ার জন্য এখন বয়স নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭। কিন্তু দুই বছরের কমিটি চার বছর থাকার কারণে নতুন অনেকেই আর নেতা হতে পারেন না। ফলে তাঁরা ব্যবসা-বাণিজ্য কিংবা চাকরি পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। কেন্দ্রীয় কমিটির অন্তত ১০ জন নেতা ছাত্রলীগকে ঠিক করতে নিয়মিত সম্মেলন করার কথা বলেন।
মেয়াদ পেরিয়ে গেছে জেলা কমিটিগুলোর: ছাত্রলীগে বর্তমানে ১০১টি জেলা কমিটি আছে। গঠনতন্ত্রের ৯ (খ) ধারা অনুযায়ী, জেলা কমিটির মেয়াদ এক বছর। এই হিসেবে ২০১৪ সালের জুলাইয়ের পর থেকে ৩৭টি কমিটিরই এখন শুধু মেয়াদ আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ২০১০ সালে গঠিত ২৫টি কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে তিন বছর আগে। ২০১১ সালে গঠিত ১৩টি কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে দুই বছর আগে। ২০১২ সালে গঠিত দুটি এবং ২০১৩ সালে গঠিত নয়টি কমিটিরও মেয়াদ নেই।
ছাত্রলীগের অন্যতম জেলা কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ২০১১ সালের ১১ জুলাই গঠিত হয়। এক বছরের এই কমিটি কেন্দ্রীয় কমিটির সঙ্গে সঙ্গে প্রায় চার বছর পার করছে। এই কমিটিতেও মৌখিকভাবে অনেককে পদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কমিটির তালিকা সভাপতি মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক ওমর শরীফের কাছে চাওয়া হলে তাঁরা দিতে পারেননি।
ছাত্রলীগে কেন্দ্রীয় নেতা কতজন?: ছাত্রলীগের বর্তমানে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সংখ্যা কত, সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কিংবা দপ্তর সম্পাদক কেউই নির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি।
ওয়েবসাইটে ১৮৮ জন নেতার নাম ও ফোন নম্বর দেওয়া আছে। ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর ২০১৩ সালে ছয়জন সহসভাপতিসহ আরও ২১৯ জনকে বিভিন্ন উপ ও সহ-সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। এরপর বিভিন্ন সময়ে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বাড়ানো হয়। অর্থের বিনিময়ে পদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এসব কারণে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এর নাম দিয়েছেন ‘বাংলালিংক’ কমিটি।
গঠনতন্ত্রে প্রতি শিক্ষাবর্ষে সদস্যপদ নবায়ন করার কথা থাকলেও গত পাঁচ বছরে তা চালু নেই।
১৫ (ঙ) উপধারায় বলা হয়েছে, প্রতি দুই মাসে অন্তত একবার কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভা বসবে। কিন্তু চার বছরে মাত্র দুবার বৈঠক হয়েছে। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, নিয়মকানুনের তোয়াক্কা না করে কেন্দ্রীয় কমিটির দুই শীর্ষ নেতা সংগঠন চালাচ্ছেন।
ছাত্রলীগের সভাপতি বদিউজ্জামান বলেছেন, ছাত্রলীগই একমাত্র সংগঠন, যারা গঠনতন্ত্র মেনে চলে।
সূত্রঃপ্রথমআলো