আন্দোলনে ৩৪তম বিসিএস নন-ক্যাডাররা

20

ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবিতে কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এবার চাকরির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে ৩৪তম বিসিএস’র নন-ক্যাডাররা।

৩৪তম বিসিএসে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে ৪০৪টি শূন্য পদে কৃতকার্য প্রার্থীদের মূল্যায়ন এবং ৩৩তম বিসিএসের ন্যায় এবারো মেধা ও প্রাধিকার কোটা আলাদা করে ফলাফল প্রকাশসহ ৬ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে বিসিএস ক্যাডার বঞ্চিতরা।

শনিবার সকাল ১০টা থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি শুরু হয়। তা চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। একই দাবিতে আগামী সোম ও মঙ্গলবার তারা নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি পেশ এবং মঙ্গলবার পিএসসি কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন। কর্মসূচির বিষয়টি বাংলামেইলকে নিশ্চিত করেন আন্দোলনের সমন্বয়ক অনন্ত নূর।

আন্দোলনকারীদের ৬ দফা দাবি
৩৪তম বিসিএস’র প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির আলোকে বিভিন্ন ক্যাডার পদে প্রায় ৪০৪টি শূন্য পদ উত্তীর্ণ/ কৃতকার্যদের দ্বারা পূরণ করতে হবে; ৩৩তম বিসিএস’র ন্যায় ৩৪তম বিসিএস’র ফলাফল প্রকাশ করতে হবে; স্বচ্ছতা নিশ্চিত করণের নিমিত্তে বিগত বিসিএসগুলোর ন্যায় ৩৪তম বিসিএস’র চূড়ান্ত ফলাফল মেধাকোটা ও প্রাধিকার কোটা আলাদা করে প্রকাশ করতে হবে; ৩৩তম বিসিএস’র (৫৪%) তুলনায় ৩৪তম বিসিএস-এ (২৫%) কম কৃতকার্যকে বিবেচনা করা হয়েছে, এই বৈষম্য দূর করতে হবে; ভবিষ্যতে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের সময় স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ ও বৈষম্য দূরীকরণের নিমিত্তে কৃতকার্য প্রার্থীদের তালিকা মেধার ভিত্তিতে প্রকাশ করতে হবে; এবং ৩৪তম বিসিএসে নন-ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য সুপারিশ কৃত ৬ হাজার ৫৮৪ জন উত্তীর্ণ প্রার্থী থেকে সকল ক্যাডারের শূন্যপদ পূরণের নিমিত্তে প্রথম প্রকাশিত ফলটি বাতিল করে পুনরায় দ্বিতীয়বার ফল প্রকাশ করতে হবে।

আন্দোলনকারীদের সূত্রে জানা যায়, ৩৪তম বিসিএসে শূন্য পদ থাকা সত্ত্বেও নন-ক্যাডারদের নিয়োগ না দিয়ে তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। বিগত বিসিএসগুলোতে কোটায় প্রার্থী পাওয়া না গেলে শূন্যপদ পূরণের জন্য মেধা কোটা থেকে প্রার্থী নিয়োগ করা হতো এমনকি বিজ্ঞপ্তির পদের কয়েকগুণ পদেও মেধাকোটা থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছিল ৩১তম ও ৩৩তম বিসিএসে।

কিন্তু ৩৪তম বিসিএসে যোগ্য প্রার্থী থাকার পরও নিয়োগ না দিয়ে পদ খালি রেখে নন-ক্যাডার তালিকায় রেখে বঞ্চিত করা হয়েছে। সাধারণ মেধাকোটার প্রার্থী ছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা কোটা ও অন্যান্য কোটার প্রার্থীরাও এই নির্মম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেয়া বিসিএস প্রার্থীরা।

তাছাড়া ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে রাতে। সেখানে সঠিকভাবে পূরণ করা হয়নি মুক্তিযোদ্ধা ও প্রতিবন্ধী কোটা। বিশেষ একটি শ্রেণীকে সুবিধা দিতেই পদ শূন্য রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন আন্দোলনকারীরা।

তারা অভিযোগ করেন, ৩৩তম বিসিএসে কৃতকার্য ৫৪ শতাংশ প্রার্থীকে ক্যাডার পদে নিয়োগে সুপারিশ করা হলেও ৩৪তম বিসিএস ২৫ শতাংশ সুপারিশ করা হয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ফলাফল পুনঃমূল্যায়ন ও নন-ক্যাডার থেকে নিয়োগের দাবি জানান তারা।

‘৩৪তম বিসিএসে ক্যাডার বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা’ এর সমন্বয়ক অনন্ত নূর বাংলামেইলকে বলেন, ‘মেধা ও প্রাধিকার কোটার আলাদা করে ফলাফল পুনঃপ্রকাশ করা হোক। এবং ৩৪তম বিসিএসে ৪০৪টি শূন্য পদে আমাদের যাদের উত্তীর্ণ দেখানো হয়েছে তাদের সুযোগ দেয়ার দাবি জানাই।’