বার কাউন্সিলে সাদা প্যানেলের নিরঙ্কুশ জয়

26

বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের নির্বাচনে সরকার সমর্থক সাদা প্যানেল নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করেছে। ১৪টি সদস্য পদের মধ্যে তারা ১১টিতে জয়ী হয়েছেন। এই জয়ের ফলে দীর্ঘদিন পর তারা বার কাউন্সিলের কর্তৃত্বে ফিরলেন।

বৃহস্পতিবার সকালে ফল ঘোষণা করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পদাধিকার বলে তিনি বার কাউন্সিলের চেয়ারম্যান।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাদা প্যানেলে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ১১ জন। আর বিএনপি-জামায়াত সমর্থক নীল প্যানেল থেকে নির্বাচিত হয়েছেন মাত্র তিন জন।

সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদের (সাদা প্যানেল) নেতৃত্বে থাকা ব্যারিস্টার এম আমীর উল ইসলাম পেয়েছেন ১৪ হাজার ৪৩ ভোট। এই প্যানেলের অপর চার আইনজীবী আবদুল বাসেত মজুমদার ১৫ হাজার ১০৯ ভোট, আবদুল মতিন খসরু ১৪ হাজার ৪২৪ ভোট, জেড আই খান পান্না ১৩ হাজার ৭৮ ভোট এবং শ ম রেজাউল করিম ১৩ হাজার ১৯২ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।

সাদা প্যানেল থেকে অঞ্চলভিত্তিক সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন ৬ জন। তারা হলেন- কাজী মো. নজীবুল্লাহ হিরু (গ্রুপ-এ), এইচ আর জাহিদ আনোয়ার (গ্রুপ-বি), মো. ইব্রাহীম হোসেন চৌধুরী (গ্রুপ -সি), পারভেজ আলম খান (গ্রুপ-ই), মো. ইয়াহিয়া (গ্রপ-এফ) ও মো. রেজাউল করিম-১ (গ্রুপ-জি)।

অপরদিকে বিএনপি-জামায়াত সমর্থক নীল প্যানেল থেকে খন্দকার মাহবুব হোসেন ১৪ হাজার ২৫৯ ভোট এবং এম এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ১৫ হাজার ৬৯ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্যানেলের ডি-গ্রুপ থেকে কেবল কাইমুল হক অঞ্চলভিত্তিক সদস্য হতে পেরেছেন। খন্দকার মাহবুব হোসেন বিদায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান।

সরাসরি ভোটে নির্বাচিত এই ১৪ জন পরে নিজেদের মধ্যে ভোটাভুটি করে বার কাউন্সিলের নতুন ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচন করবেন।

গত ২৬ আগস্ট দেশের ৭৭টি কেন্দ্রে একযোগে বার কাউন্সিল নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হয়। এতে ভোটার ছিলেন ৪৩ হাজার ৩০২ জন। এবার মোট ৬১ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এর আগে ২০১২ সালে বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে এই ১৪ সদস্য পদের মধ্যে নয়টিতে বিএনপি সমর্থকরা এবং পাঁচটিতে আওয়ামী লীগ সমর্থকরা জয় পেয়েছিল।

ভোটের দিনই প্রাথমিক গণনায় সরকার সমর্থকদের এই বিজয়ের কথা জানা যায়। পরে নিয়ম অনুযায়ী সব ব্যালট বার কাউন্সিলে এনে পুনরায় ভোট গণনা করা হয়।

পুনঃভোট গণনা নিয়ে গতকাল দিনভর নানান তর্ক-বিতর্ক হয়। পরে সন্ধ্যা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়।