মধ্যরাতে আঘাত হানতে পারে ‘কোমেন’

21

উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় কোমেন “KOMEN”(WITH ECP 988 HPA) সামান্য উত্তরদিকে সরে গিয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে।

এটি আজ সন্ধ্যা ৬ টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫০ কি. মি. দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৫ কি. মি. উত্তর পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কি. মি. পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১২৫ কি. মি. পূর্ব-উত্তরপূর্বে অবস্থান করছিল (২২.২ক্ক উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.৪ক্ক পূর্ব দ্রাঘিমাংশ)।

এটি উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে আজ মধ্যরাতনাগাদ সন্দ্বীপের নিকট দিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

উপকূল অতিক্রম করার পর এটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝড়িয়ে ক্রমান্বয়ে দূর্বল হয়ে যেতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি. মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি. মি. যা দমকা অথবা ঝড়োহাওয়ার আকারে ৮৮ কি. মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা জেলাসমূহ এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৭ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৫ নম্বর বিপদসংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, ভোলা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠী, পিরোজপুর, খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নি¤œাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৩-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।