মাদক নিয়ন্ত্রণে সম্পূর্ণ ব্যর্থ অধিদফতর

24

বতর্মানে মাদকাসক্তি এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে, এখনই কঠিন পদক্ষেপ নিতে হবে। এর বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, মাদক নিয়ন্ত্রণে মাদক অধিদফতর সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ।

রোববার (০৫ জুলাই) সকালে জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন। এ সময় সংসদ অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, মাদক এখন এমন একটি ভয়াবহ সমস্যা, যে সমস্যা শহর থেকে গ্রাম, গ্রাম থেকে গ্রামের অত্যন্ত ক্ষুদ্র বাজারেও প্রবেশ করেছে। এ সব বাজারে দেদারছে ইয়াবা, ফেন্সিডিল, গাঁজা পাওয়া যাচ্ছে।

তিনি বলেন, আমরা সংসদে অনেকে অনেক কথা বলি। কিন্তু এসব কথায় কোনো কাজ হয় না।

তিনি আরো বলেন, মাদকসেবীদের জ্বালায় শহরাঞ্চলের মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর কবলে পড়ে যে, কোথায় চলে যাচ্ছে, তা চিন্তা করাও অকল্পনীয়। সামনে ঈদ। নারীরা মার্কেটে গিয়ে এ সব মাদক সেবনকারীদের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ফুটপাত, বাজার সবখানেই মাদকাসক্ত ব্যক্তি রয়েছেন।

তিনি বলেন, ঢাকা শহরের ৪০০/৫০০ ভাসমান মাদকাসক্ত বিক্রি কেন্দ্র রয়েছে। এদের তুলে নিলেই সমস্যার কিছুটা সুরাহা হবে।

ফিরোজ রশিদ বলেন, এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিতে মাদক অধিদফতর সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি কোনো কোনো পুলিশ সদস্য এ সব ব্যবসার সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়েছে।

অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে পয়েন্ট অব অর্ডারে রাজধানী ঢাকা শহরের যানজটের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিম।

তিনি বলেন, যানজট ঢাকা শহরের জন্য এমন একটি সমস্যা, যে সমস্যার কারণে ঢাকার উত্তর থেকে দক্ষিণে, দক্ষিণ থেকে উত্তরে যাওয়া যায় না। এই যানজটের কারণে অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যেই অনেক সময় রোগী মারা যাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, বনানীতে বাসাবাড়ির নিচে দোকান, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং রেস্টুরেন্ট গড়ে উঠেছে। এতে বনানীর অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়ছে আর মানুষ অসুবিধায় পড়ছে।