দ. আফ্রিকার বিপক্ষেও জ্বলে উঠতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মুস্তাফিজ

9

নেটে অনুশীলনের সময় সিনিয়র সতীর্থ হঠাৎ করেই বললেন, কার্টার মারতে পারবি? ভাই চেষ্টা করবো। ঐ চেষ্টাই আজ ক্রিকেট বিশ্বে বিস্ময় প্রতিভার প্রতীক হয়ে উঠেছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দু’বছর আগে, কার্টার রপ্ত করার গল্প বলেছেন সময় সংবাদে।

তবে, আসন্ন হোম সিরিজে নির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য নেই। প্রতিপক্ষের ১ কিংবা ১১ নম্বর ব্যাটসম্যানের উইকেট পেলেই খুশি সাতক্ষীরার এই ক্রিকেটার। কারণ, বাংলাদেশ দলের জয়ে অবদান রাখাটাই অগ্নিদৃষ্টি মুস্তাফিজের।

১৩০ কিলোমিটারের ওপরে গতি ছিলো বলটির। সুরেশ রায়না ভ্যাবাচ্যাকা খেয়েছেন। আর মাথা ঠুকিয়ে ঠুকিয়ে ভেবেছেন বলটি স্পিন ছিলো নাকি অন্য কিছু। এমনই স্লোয়ার কাটার বোলিংয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় নিজের আগমনী বার্তার জানান দিয়েছেন মুস্তাফিজ। এ মুহূর্তে ক্রিকেট বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত মুস্তাফিজের কাটার, অনেক দলের ক্রিকেট লাইব্রেরির পাঠ্যসূচি। হবেই না বা কেন, অভিষেকে তার বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ে টানা দুই ম্যাচে ধরাশায়ী বিশ্ব ব্যাটিং লাইনের ভারত। আর তিন ম্যাচ সিরিজে ১৩ উইকেট শিকারের বিরল রেকর্ডের কৃর্তী বিশ্বে একমাত্র তারই আছে। কিন্তু, মুস্তাফিজের যে কাটার এখন অনেক দলের গবেষণায় পাঠে, সেই কাটার শিখার গল্পটা ছিলো হঠাৎ করেই।

মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘প্রাকটিস ম্যাচ থেকে ধীরে ধীরে চেষ্টা করতে থাকি। এরপর জাতীয় লিগের খেলার সময় থেকে কার্টার পুরোটা রপ্ত করতে থাকি। ‘

কাটার অস্ত্রে ঘায়েল হয়েছে ধোনি, রায়না, রোহিতের মত ব্যাটিং জিনিয়াস। তবে, আসন্ন দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ডি ভিলিয়ার্স আমলাদের ঠেকাতে কি আলাদা মন্ত্র আছে? এমন প্রশ্নে, কার্টারের মতই রহস্যময়ী উত্তর মুস্তাফিজের?

ক’সপ্তাহ আগের জীবনও, বদলে দিয়েছে ঐ তিন ম্যাচের পারফরম্যান্স। তারপরেও, নিজের স্বভাবসুলভই আচরণের মাঝে আছেন সাতক্ষীরার এই ক্রিকেটার।

দুর্দান্ত বোলিং পারফরম্যান্স মুস্তাফিজকে সংকল্পবদ্ধ করেছে দীর্ঘদিন বাংলাদেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করার। ধ্যানে জ্ঞানে এখন মুস্তাফিজের ঐ একটাই চাওয়া।
সূত্র : সময় টিভি