৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত, দু’টিতে সাময়িক বন্ধ

21

ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ চলছে। দিনের প্রথম দিকেই এ পর্যন্ত ৭টি কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে প্রার্থীদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলের জন্যই এসব কেন্দ্র বন্ধ করা হচ্ছে বলা জানা গেছে।

বংশাল থানার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের সুরিটোলা এলাকায় ৬৪, ৬৫ ও ৬৬ নম্বর কেন্দ্র বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

এরমধ্যে ৬৬ নম্বর কেন্দ্র নির্বাচন কমিশন বন্ধ ঘোষণা করেছে। তবে সাময়িকভাবে বন্ধ থাকা ৬৪ ও ৬৫ নম্বর কেন্দ্রে পুনরায় ভোটগ্রহণ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন কোতোয়ালী জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার আহাদুজ্জামান।

এ কেন্দ্রে পৌনে ৯টার দিকে ভোট গ্রহণ শেষ ঘোষণা দেন প্রিজাইডিং অফিসার শওকত আলী। তিনি বলেন, ‘এ ভোটকেন্দ্রে ভোট আর হবে না।’

অপর প্রিজাইডিং অফিসার নিপিত কুমার সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘এই কেন্দ্রের বাক্স ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। তাই আমরা ভোট গ্রহণ স্থগিত করেছি।’

রাস্তায় ভোটাররা অবস্থান করে বিক্ষোভ করছেন। অনেকেই অভিযোগ করছেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের কর্মীরা বাক্স নিয়ে গেছেন।

দক্ষিণ সিটির ৩৭ নং ওয়ার্ডের পোগোজ স্কুলকেন্দ্রে দু’প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট ও সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে পর ওই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ২ পোলিং এজেন্ট আহত হয়েছেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে।

আহতরা হলেন- প্রকাশ শুর (৪০) ও বাদল (৩৯)। তাদের দু’জনেরই মাথা ফেঁটে গেছে। তারা চিকিৎসাধীন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ভোটগ্রহণ শুরুর পর সকাল সাড়ে ৯টা দিকে হঠাৎ বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী এম এম পারভেজ রেজার (ট্রাক্টর) পোলিং এজেন্ট ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী রহমান মিয়াজীর (ঘড়ি) পোলিং এজেন্টদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। এ খবর কেন্দ্রের বাইরে ছড়িয়ে পড়লে দু’পক্ষের অন্তত দুই শতাধিক সমর্থক কেন্দ্রে ঢুকে পড়ে। শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া। এতে রহমান মিয়াজীর দুই পোলিং এজেন্ট আহত হয়।

পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও এখন ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে। কেন্দ্রের আশাপাশে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে পুরান ঢাকার বাংলাবাজার এলাকায় বুলবুল ললিতকলা একাডেমি, কবি নজরুল কলেজ এবং বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব স্কুলের কেন্দ্রগুলোতেও বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

কবি নজরুল কলেজ কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা জাহাঙ্গীর (৪৫) বাংলামেইল প্রতিনিধি প্রিয়লাল সাহাকে জানান, ‘আমি ভোট দিতে পারিনি, এসে শুনেছি আমার ভোট দেয়া হয়ে গেছে। বাইরে অনেক ভোটার আছেন, কিন্তু ভোট গ্রহণ বন্ধ আছে।’