টাইগারদের টার্গেট ২৫১

18

পেস বোলারদের নিষ্ক্রয়তা ম্যাচের শুরুতেই দেখা গেছে। স্পিনারারই কিছুটা সমীহ পাচ্ছিলেন। তবে সেটা পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানদের জন্য বড় সমস্যার কারণ হয়ে উঠতে পারেনি। অধিনায়ক আজহার আলীর সেঞ্চুরি ও হারিস সোহেলের হাফ সেঞ্চুরিতে বড় স্কোরের ভিতই পেয়েছিল পাকিস্তান। কিন্তু পরপর দুই ওভারে তাদের বিদায় উল্টো চাপে ফেলেছে সফরকারীদের। ২০৭ রানে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান।

৩৮ ওভারেই দুশো পেরিয়েছে পাকিস্তানের স্কোর। ৬২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন আজহার। তার সেঞ্চুরিটা এসেছে ১১১ বলে। সাকিবের বোল্ড হওয়ার আগে ১১২ বলে ১০১ রান করেন আজহার। পাঁচ বছর পর পাকিস্তানের কোনো ওয়ানডে অধিনায়ক সেঞ্চুরি করলেন। সর্বশেষ কোনো পাকিস্তান অধিনায়কের সেঞ্চুরি হয়েছিল ২০১০ সালে। কাকতলীয়ভাবে সেবার শহীদ আফ্রিদি সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে। ২০১০ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার ডাম্বুলায় ওই সেঞ্চুরি করেছিলেন আফ্রিদি।

ঘুরে দাঁড়ানোর অঙ্গীকার নিয়েই মাঠে নেমেছিল পাকিস্তান। দুই ওপেনার আজহার আলী ও অভিষিক্ত সামি আসলামের ব্যাটে সেই ভিতও পেয়েছে সফরকারীরা। ওপেনিং জুটিতে ৯১ রান তুলেছে পাকিস্তান। বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন নাসির হোসেন। ব্যক্তিগত ৪৫ রানে নাসিরের বলে কট বিহাইন্ড হন অভিষিক্ত সামি আসলাম। উইকেটে এসে অস্বস্তিতে থাকা হাফিজ বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি। ৪ রান করে আরাফাত সানির বল তুলে মারতে গিয়ে বোল্ড হন তিনি। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়কের সঙ্গে জুটি বাঁধেন হারিস সোহেল। তাদের জুটি ৯৮ রান যোগ করে।

মিরপুরে বুধবার ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিটি করেছেন আজহার। আড়াই বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেই তৃতীয় ম্যাচে তিন অঙ্কের ঘর স্পর্শ করলেন তিনি। সেঞ্চুরি করার পরের বলেই আউট হয়েছেন তিনি। হারিস সোহেল পঞ্চম হাফ সেঞ্চুরি করেন। তিনিও হাফ সেঞ্চুরির পর দ্রুত আউট হয়েছেন। ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র শেষ ওভারে ৫৩ রান করে মাশরাফির শিকার হন এই তরুণ।

টানা দুই ম্যাচ হেরে সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে আছে পাকিস্তান। বুধবার হারলেই প্রথমবার বাংলাদেশের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা পেতে হবে পাকিস্তানকে।