আমেরিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে পুরুষ রাজনীতিবিদদের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হয়েছে এক গবেষণায়। ১৮৪২ সাল থেকে রাজনৈতিকদের দাড়ি-গোঁফ সংক্রান্ত ট্রেন্ডের বিবর্তন তুলে ধরা হয়েছে সেখানে। একটি গ্রাফের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে বিবর্তনের চিত্র।
দেখা গেছে, ১৮০০ শতকের পর থেকে পুরুষ রাজনীতিবিদদের মাঝে দাড়ি-গোঁফ রাখার প্রবণতা ছিল। তবে ধীরে ধীরে এই স্টাইলের মরণ ঘটে। ১৯৭২ সালে একই গবেষণায় দেখা গেছে, রাজীতিতে জড়িত সব পুরুষ ক্লিন সেভের ট্রেন্ড গ্রহণ করেছেন।
কিন্তু এই বিবর্তন কেন? সমাজবিজ্ঞানী রেবেকা হেরিক একটি তত্ত্ব দিয়েছেন। সহকর্মী জিয়ানিতি মেন্ডেজ এবং বেন প্রায়রকে নিয়ে এক গবেষণায় তিনি দেখেছেন, পুরুষের দাড়ি-গোঁফ রাখার বাঁধাধরা নিয়মের সঙ্গে মার্কিন রাজনীতিবিদদের রুচির পরিবর্তন ঘটেছে। আধুনিক রাজনীতিবিদদের মুখে দাড়ি-গোঁফ একেবারেই দেখা যায় না। ইউএস কংগ্রেসের ৫ শতাংশেরও কম সদস্যের মুখে দাড়ি-গোঁফ রয়েছে। ১৯১৩ সালে প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম হাওয়ার্ডের পর সব প্রেসিডেন্টকে ক্লিন সেভ দেখা গেছে। তা ছাড়া এর পরই নারীরা ভোট প্রদানের ক্ষমতা অর্জন করেন।
এক পরীক্ষমূলক পদ্ধতিতে হেরিক এবং তার সহকর্মীরা দেখিয়েছেন দাড়ি-গোঁফ রয়েছে এবং নেই- এমন রাজনীতিবিদদের চেহারা। এর মাধ্যমে দেখা হয়, মুখের এমন বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাদের নিজ নিজ পদে কেমন মানাচ্ছে।
দেখা গেছে, সিরিয়াস ভোটারটা দাড়ি-গোঁফ রয়েছে এমন রাজনীতিবিদকে অনেক বেশি যোগ্য বলে মনে করেন। আবার তাদের নারী এবং নারী অধিকার বিষয়ে বন্ধুসুলভ নয় বলেও মনে করা হয়।
এ ছাড়া যার মুখে যত বেশি চুল রয়েছে তাকে তত বেশি সেক্সি বলেও ধারণা জন্মে।
তবে বাস্তবে মুখের এ বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে ভোটের সংখ্যার কোনো পরিবর্তন দেখা যায়নি। সম্ভবত আধুনিক রাজনীতিবিদরা অন্যের সামনে ঝকঝকে পরিষ্কার হয়ে উপস্থিত হতে চান। এতে অন্তত দাড়ি-গোঁফ মানিয়েছে কি মানায়নি, এ বিতর্কে যাওয়ার সুযোগ থাকে না। সূত্র : বিজনেস ইনসাইডার
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.