খাবার প্লেটে নেচে উঠলো মরা অক্টোপাস!

79

file-1শহরের বড় বড় রেস্টুরেন্টে পাওয়া যায় বিভিন্ন সামুদ্রিক খাবার। এগুলোর মধ্যে গলদা চিংড়ি, কাঁকড়া, ফ্রাইড স্কুইডসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ রয়েছে। বহির্বিশ্বে জনপ্রিয় রেস্টুরেন্টে খাওয়ার উপযোগী নানারকম অক্টোপাসও পাওয়া যায়।

ধরুন, সুসজ্জিত সাজানো-গোছানো রেস্টুরেন্টে আপনি খেতে বসেছেন। আপনার সামনে রাখা ডিশে রয়েছে লোভনীয় এক অক্টোপাস। যেই না আপনি ছুরি আর কাঁটাচামচ দিয়ে ধরলেন, অমনি অক্টোপাসটি শুরু করলো হাত-পা নাড়াচাড়া! নিশ্চয়ই ভয় পেয়ে যাবেন! এমন অনাকাঙ্ক্ষিত দৃশ্য দেখে আঁতকে ওঠাটাই স্বাভাবিক।

বলা চলে, ঠিক এমনটাই ঘটেছে সম্প্রতি। ইউটিউবে প্রকাশিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, রান্নার পর একটি অক্টোপাসকে সাজিয়ে পরিবেশন করার পর যখনই তার উপর সয়াসস ঢালা হলো, অমনি সেটার আট পা নেড়েচেড়ে উঠলো। পাতের খাবার হুটহাট জ্যান্ত হয়ে উঠবে, এ দৃশ্য কারোরই কাম্য নয়। প্রাথমিক বিস্ময় কাটিয়ে ভদ্রলোক এ দুর্লভ দৃশ্যটি ভিডিও ধারণ করে রাখলেন। পরে ইউটিউবে পোস্ট করে দিলে বেশ সাড়া ফেলে ভিডিওটি।

তবে আসল ব্যাপারটা হচ্ছে, সয়াসসের মধ্যে লবণের পরিমাণ বেশি ছিল। আর লবণ অক্টোপাসের পেশিতে এক ধরনের বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করে, যা তার মৃত্যুর পরও সক্রিয় থাকে।

অষ্টাদশ শতাব্দীতে ইতালিয়ান চিকিৎসক, পদার্থবিজ্ঞানী ও দার্শনিক ল্যুইজ গ্যালভানি ব্যাঙের উপর ঠিক এমন একটি পরীক্ষা চালান।

তিনি দেখেন যে, লবণ ব্যাঙের পায়ের পেশিতে একপ্রকার স্নায়বিক বৈদ্যুতিক স্ফুলিঙ্গ সৃষ্টি করে। গ্যালভানিই প্রথম বায়োইলেকট্রিসিটি নিয়ে গবেষণা করেন।