স্ত্রীর সাথে যে নিষ্ঠুর কাজ করে পুরুষরা

66

images-2 তিনি আপনার জীবনের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। ঝগড়া হলেও, পর মুহূর্তেই তাঁকে মিস করতে শুরু করেন। কিন্তু জানেন কি আপনার অজান্তেই কিছু এমন কাজ আপনার ভালোবাসার পুরুষটি করে থাকেন, যা নষ্ট করে দিতে পারে আপনাদের সম্পর্ক? কী সেই সব আচরণ? একবার চোখ বুলিয়ে নিন—

 

ইগো!

শব্দটা ছোট হলেও, এর প্রভাব সুদূরপ্রসারি। কখনও খেয়াল করে দেখেছেন কি আপনি ডান দিকে যেতে বললে তিনি অবধারিতভাবে আগে বাঁ-দিকেই যান? কিংবা কোনও ভুল রাস্তায় ঢুকে পড়েছেন জেনেও তা স্বীকার না করা? হ্যাঁ, এই সবই মেল ইগোর লক্ষণ।

সিলেক্টিভ মেমরি

অর্থাত্‍‌ তাঁদের যে কথাটা কাজের মনে হয়, শুধু সেটুকুই মনে রাখেন। বাকি সব যায় মস্তিষ্কের ট্র্যাশ বক্সে। প্রিয় ফুটবল টিমের খেলা কবে কোন চ্যানেলে আছে, বা কবে কোন মাঠে লারা ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন কার বলে…. সব বলে দিতে পারবেন নাগাড়ে। কিন্তু আপনাদের অ্যানিভার্সারি? আরে কাজের ব্যবস্ততায় অত তারিখ মনে রাখা সম্ভব নাকি!

ওগলিং!

পুরুষদের চোখ যে মাঝে মধ্যেই পাশে বা সামনে বসে থাকা নারীর বক্ষ যুগলের দিকে চলে যায়, এ কথা আর লুকানোর নয়। কিন্তু তাঁরা একটা কথা মাথাতেই রাখেন না, তাঁদের এই অভ্যেস যে কোনও নারীর কাছেই বিরক্তিকর এবং অপমানজনক।

অত্যধিক পজেসিভ

ভালোবাসা ভালো… কিন্তু সেই ভালোবাসায় যদি দম বন্ধ হয়ে আসে, তখন? হ্যাঁ, এমন অনেক পুরুষই আছেন, যাঁরা ভালোবাসার নামে পজেসিভনেসের সব সীমা ছাড়িয়ে যান। এমনকি তাঁদের কোনওভাবে বোঝানোর চেষ্টাও হয় বৃথা।

হিপোক্রিট!

ডেট করার সময়ে সঙ্গে চাই সব থেকে হট অ্যান্ড হ্যাপেনিং মেয়েকে। আত্মবিশ্বাসী, উদারমনস্ক এবং অবশ্যই সাহসী মেয়ে ছাড়া ডেট করার কথা ভাবতেই পারেন না। কিন্তু বিয়ের সময়ে তাঁদের পছন্দ ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যায়। তখন চাই ঘরোয়া, সুশীলা ও সুগৃহিনী হওয়ার সব রকম লক্ষণ থাকা আদর্শ নারী।

অত্যধিক কেয়ারিং!

উফ, ভালোবাসায় একেবারে গদ গদ! আপনাকে প্রতি মুহূর্তে চোখে হারান। পাঁচ মিনিট অন্তর অন্তর আপনাকে ফোন বা টেক্স করে খোঁজ নেন। মাঝে মাঝে হয়তো আপনিও ভুলে যান, তিনি আপনার বয়ফ্রেন্ড বা স্বামী নাকি সিআইডি!

তিনিই সুপারম্যান

তিনি পারেন না, এমন কোনও কাজ নেই। কিন্তু বাস্তবটা তাঁরা বুঝতে চান না যে পৃথিবীর সব কাজ তাঁদের একার পক্ষে করা অসম্ভব। বুঝতে পারবেনই বা কী করে। একটা বড় ইগো যে তাঁদের মাথার মধ্যে বাসা বেঁধে আছে।

মেয়েদের ইমোশন বস্তাপচা

হ্যাঁ, মুখে না বললেও আচার আচরণে তাঁরা পরিষ্কার ভাবে বুঝিয়ে দেন যে মহিলারা কেবলমাত্র নিজেদের ইমোশনাল ব্যাগেজ সঙ্গে নিয়ে ঘোরেন। যুক্তিসঙ্গত চিন্তা ভাবনা করার কোনও ক্ষমতাই নেই নারীকুলের!

যৌন চাহিদা

যে কোনও সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘sexual compatibilty’ গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে উভয়েরই পছন্দ-অপছন্দের সমান মূল্য। কিন্তু এমন অনেক পুরুষ আছেন, যাঁরা তাঁদের সঙ্গীদের ভালোলাগা- অপছন্দকে কোনও পাত্তাই দেন না।