নিজের মামলাতেই ফেঁসে যেতে পারেন হ্যাপী।

25

images (3)জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে দায়ের করা নিজের মামলাতেই ফেঁসে যেতে পারেন চিত্র নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপী। এর জন্য আলাদা করে রুবেলের পক্ষ থেকে মানহানী মামলা করার প্রয়োজন নেই। কেননা নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ১৭ ধারায় বলা আছে কেউ মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করলে তার শাস্তি হবে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড। এছাড়া অর্থদণ্ডও হতে পারে। তবে সেক্ষেত্রে এ আইনের ১৭ (২) ধারা অনুসারে মামলার আসামিকে আদালতে আবেদন করতে হবে।

হ্যাপির আইনজীবী কুমার দেবুল দে বলেন, মামলাটি এখন তদন্তাধিন রয়েছে। কিন্তু হ্যাপী তথ্য-প্রমাণ দিয়ে সহযোগীতা না করলে তদন্ত কর্মকর্তা রুবেলের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায়নি মর্মে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন। আর আদালতও মামলাটি ডিস মিস করে দিবেন। কিন্তু আদালত স্ব-প্রণোদিত হয়ে হ্যাপিকে কোন শাস্তি দিবেন না। তবে আইনের ১৭ (২) ধারা অনুযয়ী কেবল রুবেল আবেদন করলেই হ্যাপি শাস্তি পেতে পারেন।

এর আগে মামলা দায়েরের পর গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন নেন জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেন। পরে ওই জামিনের মেয়াদ শেষ হবার আগেই বিচারিক আদালতে আÍসমর্পণ করে জামিন চান তিনি। তবে ৮ জানুয়ারি ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাতের আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অবশ্য ১১ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান রুবেল।

এছাড়াও ক্রিকেটে বিশ্বকাপ ও জাতীয় দল থেকে পেসার রুবেল হোসেনকে বাদ দেওয়ার আরজি জানিয়ে গত ৫ জানুয়ারি হাইকোর্টে রিটি দায়ের করে ছিলেন হ্যাপী। পরে অব্যশ্য শুনানি শেষে ওই রিটটি খারিজ করে দেন আদালত। এদিকে রুবেলের জামিন বাতিল চেয়ে হ্যাপির দায়ের করা একটি আবেদন আগামী ৫ এপ্রিল হাইকোর্টে শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।

প্রসঙ্গত, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে রাজধানীর মিরপুর থানায় গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর একটি মামলা দায়ের করেন হ্যাপি। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯/১ ধারায় ওই মামলাটি দায়ের করা হয়।

এদিকে, মামলার বাদী নাজনীন আকতার হ্যাপী মামলাটি আর চালাবেন না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। হ্যাপী বলেন, আরো দুই সপ্তাহ আগেই বলেছি আমি রুবেলকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এ মামলা আর চালাবো না। হ্যাপি বলেন, যেহেতু এ মামলা তুলে নেয়া যায় না। তাই আমি মামলার কোন কাজে আর অংশ গ্রহণ করবো না। এতে করে মামলা আদালতের স্বাভাবিক প্রক্রিয়াতেই শেষ হয়ে যাবে।