স্থুল শিশুদের মেদ কমানোর কিছু উপায়

31

আজকাল মেদের সমস্যায় শুধু প্রাপ্ত বয়স্করাই নয়, ভোগেন শিশুরাও। মেদের কারণে অনেক শিশুকেই বয়সের তুলনায় অনেক বড় মনে হয়। বেশিরভাগ সময়ই স্থুল শিশুরা বেশি পরিশ্রম করতে পারেন না, হাঁপিয়ে ওঠে। তখন বাবা-মায়েরা তাদের নিয়ে অনেক চিন্তায় পড়ে যান। এ সময় পরিমিত খাদ্যাভাস এবং ব্যায়ামের মাধ্যমেই কেবল শিশুদের মেদ কমিয়ে আনা সম্ভব। এজন্য পিতামাতার পাশাপাশি পরিবারের সকল সদস্যদেরও সচেতন হওয়া জরুরী।

জেনে নিন স্থুল শিশুদের মেদ কমানোর কিছু উপায়-

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস
স্থুল শিশুদের মেদ কমানোর পূর্ব শর্তই হলো স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস। কাজেই প্রতিবার খাবারের সময় তাকে স্বাস্থ্যকর এবং কম ক্যালরিযুক্ত খাবার যেমন- প্রচুর শাকসবজি, ফল এবং গমের তৈরি বিভিন্ন খাবার খেতে দিন। চাইলে এর সঙ্গে দুধ কিংবা ডেইরি পণ্যও দিতে পারেন। এছাড়া বিভিন্ন প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন -মাছ, মাংস, শিম দিতে পারেন। তবে অতিরিক্ত মিষ্টিজাতীয় খাবার, চিনি, লবণ এবং চর্বিযুক্ত খাবার থেকে তাদের দূরে রাখুন।

শিশুদের সক্রিয় রাখুন
শরীরকে সুস্থ রাখতে ছোট র্কিবা বড় সবার জন্যই সমান কার্যকরী ব্যায়াম। কাজেই শিশুদের সক্রিয় রাখতে সপ্তাহে প্রতিদিনই অন্তত ৬০ মিনিট করে শারীরিক পরিশ্রমে ব্যস্ত রাখুন। বাইরের বিভিন্ন খেলাধুলা যেমন- ফুটবল, হাঁটা, সাঁতার কাটা, নাচ শেখা প্রভৃতি কাজে তাদের উৎসাহিত করুন।

বিনোদনের সময় কমান
স্থুল শিশুদের দীর্ঘ সময় ধরে টেলিভিশন দেখা এবং কম্পিউটারে গেমস খেলার সময় কমিয়ে দিন। তাতে তারা অতিরিক্ত স্থুলতার হাত থেকে রক্ষা পাবে। স্কুলের শিশুদের জন্য এ সময়টা হবে প্রতিদিন দুই ঘণ্টারও কম এবং আরও একেবারে ছোট শিশুদের জন্য এ সময়টা হবে দিনে একঘণ্টারও কম।

স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ান
শিশুদের খাদ্যাভাস গড়ে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে স্বাস্থ্যকর নাস্তা। কাজেই তাদের নিয়মিত এসব খাওয়ার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। তবে অবশ্যই মনে রাখবেন, স্বাস্থ্যকর নাস্তায় যাতে ক্যালোরির পরিমাণ কম থাকে। এক্ষেত্রে ফল কিংবা বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি মিশ্রিত খাবার হতে পারে চমৎকার নাস্তা।

পরিমিত খাবার দিন
শিশুদের প্লেটে বেশি খাবার না দিয়ে বরং পরিমিত খাবার দিন। প্রতিদিন একই পরিমাণ খাবার খাওয়ানোর চেষ্টা করুন। এতেও ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

ফার্স্টফুড থেকে বিরত রাখুন
স্থুল শিশুদের সবসময় ফার্স্টফুড খাওয়া থেকে বিরত রাখুন। এর পরিবর্তে বাসায় তৈরি বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার দিন। এতে সুস্থ থাকার পাশাপাশি শিশুদের ওজনও কমবে।

পানি পানে উৎসাহিত করুন
শিশুদের বিভিন্ন রঙ্গের পানীয় পান থেকে বিরত রাখুন। বরং এর পরিবর্তে তাদেরকে প্রচুর পানি পানে উৎসাহিত করুন। এতেও শিশুর মেদ কমবে।

তথ্যসূত্র: কিউর জয় ডট কম