দেশের সার্বিক পরিস্থতি নিয়ে ‘উদ্বিগ্ন’ টিআইবি

28

দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে দীর্ঘস্থায়ী ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সরকার, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, নাগরিক সমাজসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শনিবার সংস্থার ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত টিআইবির সদস্যদের বার্ষিক সভায় এই আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সিটি করপোরেশন নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু না হওয়া, কালো টাকা বৈধ করার সুযোগ রাখা, মানবপাচার, দেশে গণতান্ত্রিক সংকট, গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড বৃদ্ধিতে সদস্যরা উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

দুদক ও টিআইবির সমঝোতা স্মারকের কথা উল্লেখ করে জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে একযোগে কাজ করার বিষয়ে সদস্যরা একমত হয়েছেন। সম্প্রতি সংসদে উত্থাপিত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট প্রসঙ্গে সদস্যরা নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের সব সদস্য, উপদেষ্টা, সংসদ সদস্যসহ বিচারপতি, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং রাজনীতিকদের সম্পদের হিসাব প্রকাশ নিশ্চিত ও নিয়মিত হালনাগাদ করা, কালো টাকা সাদা করার সুযোগ সম্পূর্ণ বিলোপ করা, মানি-লন্ডারিং প্রতিরোধে এবং পাচারকৃত অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন এবং কুইক রেন্টাল বিদ্যুতৎ প্রকল্পকে নিরুৎহিত করতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রার্থীদের আচরণবিধি লঙ্ঘনে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থতা, ভোট জালিয়াতি, কারচুপি এবং ভোট কেন্দ্র দখলে সহিংসতা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে না পারায় নির্বাচন কমিশন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে দায়ী করেন সদস্যরা।
অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন টিআইবির ট্রাস্টি এম হাফিজ উদ্দিন খান। এতে সভাপতিত্ব করেন টিআইবির সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) ইমামুজ্জামান বীর বিক্রম, পিএসসি এবং সঞ্চালনা করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।
এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, ‘টিআইবির কাছে মানুষের প্রত্যাশা অনেক বেশি। সুতরাং, বিভিন্ন খাতের ওপর গবেষণা এবং সচেতনতামূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে বিশেষ করে তরুণদেরকে সম্পৃক্ত করে দুর্নীতি-বিরোধী সামাজিক আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে হবে।’

সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন